বিগত ২৫ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সংখ্যালঘু মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতনের মাধ্যমে তাদের আবাস ভূমি হতে বিতাড়িত করে। ফলে লক্ষ লক্ষ বলপূর্বক বাস্তুচ্যূত মিয়ানমার নারী, পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধ বাংলাদেশ সীমানা অতিক্রম করে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বিশাল হৃদয়ের মহানুভতায় বলপূর্বক বাস্তুচ্যূত মিয়ানমার নাগরিকদের আশ্রয়ণ ও মানবিক সহায়তা প্রদানে এগিয়ে আসেন। এবং সকল সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে তাঁদের পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে অস্থায়ী ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেন এবং নির্যাতিত জনগোষ্ঠির নির্যাতনের বর্ণনা তাদের মুখেই শোনেন। অতঃপর বিশ্বের সকল উন্নত দেশসমূহকে তাদের সাহয্যের আহবান জানান। বিশ্বদরবারে তাঁর এ উদ্যোগ ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে এবং ব্রিটিশ গণমাধ্যমসহ বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে “মাদার অব হিউম্যানিটি” বা “মানবতার জননী” উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১০ লক্ষ বলপূর্বক বাস্তুচ্যূত মিয়ানমার নাগরিকদের টেকনাফ, উখিয়ায় এবং কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়। বিগত ডিসেম্বর ২০১৭ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলপূর্বক বাস্তুচ্যূত মিয়ানমার নাগরিকদের অস্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক বাস্তবায়নের জন্য আশ্রয়ণ-৩ “নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানাধীন চরঈশ্বর ইউনিয়নস্থ ভাসান চরে বলপূর্বক বাস্তুচ্যূত মিয়ানমার নাগরিকদের আবাসন ও দ্বীপের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ” শীর্ষক প্রকল্পের অনুমোদন প্রদান করেন। বর্তমানে প্রকল্প এলাকা ভাসান চরে বিপুল সংখ্যক বলপূর্বক বাস্তুচ্যূত মিয়ানমার নাগরিকদের স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পের ভৌত কাজ অর্থাৎ মূল অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং আগামী জুন ২০২২ এ প্রকল্প সমাপ্ত হবে বলে আশা করা যায়।
|